রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথেই এদেশে নাম বদলের হিড়িক পড়ে যায় এটাই যেন স্বাভাবিক । তবে এবার ব্যতিক্রম ঘটেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌর এলাাকায়।
কিন্তু কি সেই ব্যতিক্রম ?
সেটা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৫ আগষ্ট দুপুরে শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে সরকারের পতনের খবরে সারাদেশের মত শিবগঞ্জ পৌরসভার জিরো পয়েন্টে সমবেত হয় হাজারো মানুষ। কিছু সময়ের মধ্যেই জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরের নাম ফলক উচ্ছেদ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর স্থলে সেখানে বসে যায় ‘তারেক রহমান চত্বর’ নামের নতুন নাম ফলক।
এই পরিবর্তনকে সহাস্যে মেনে নেয় সাধারণ মানুষ। মানুষ শুধু যে তারেক রহমানকে পছন্দ করে সেকারনেই খুশি হয়েছে তা’ কিন্তু না। এটা আগে থেকেই তারেক রহমান চত্বর হিসেবেই পরিচিত ছিল। মানুষের সমর্থন ও খুশি হওয়ার এটাই ছিল আসল কারন।
তবে ৬ অথবা ৭ তারিখে খবরটি তারেক রহমানের গোচরিভুক্ত হয়। প্রায় সংগে সংগেই তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলমকে নির্দেশ দেন দ্রুত যেন জায়গাটাকে শহীদ মুগ্ধের নামে নামকরন করা হয়। নেতার নির্দেশে মীর শাহে আলম এর পরদিনই স্থানটিকে প্রশাসনের নলেজে দিয়ে মুগ্ধ স্কয়ার হিসেবে নতুন নাম ফলক লাগিয়ে দেন।
ফলে স্থানীয়ভাবে দলমত নির্বিশেষে সবাই তারেক রহমানের এই উদারতাকে একটি ব্যতিক্রমি দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।