কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। ১৬ জুলাই নিরস্ত্র আবু সাইদকে লক্ষ্য করে পুলিশের গুলি ছোড়ার ভিডিও প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে।
তবে পুলিশের প্রাথামিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) পুলিশের গুলিতে সাঈদের নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি।
ক্যাম্পাস পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বিভূতি ভূষণ রায়ের লেখা এই এফআইআরে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত দুই থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী আন্দোলনরত দুর্বৃত্তরা, বিভিন্ন দিক থেকে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল ও তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র থেকে এলোপাথাড়ি গুলি শুরু করে।
নাম প্রকাশ না করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ মারা গেলেও এই হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সুস্পষ্ট মামলা হয়নি। উল্টো নিজেদের দোষ ঢেকে পুলিশ দায়ী করেছে আন্দোলনকারীদের।
এফআইআরের বিষয়ে বিভূতি ভূষণ বলেন, ‘আমি মাত্র মামলা দায়ের করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য যাচাই করবেন।’