বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আগামী দিনে জনগণের সহযোগিতায় বিএনপি জনগণের সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমরা বাংলাদেশে উৎপাদন, সম্ভাবনা ও উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই। এ কারণে বাংলাদেশের মাটিতে আমার মন পড়ে আছে। বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করা। জনগণের যে অর্থনৈতিক মুক্তি, সেটি অর্জন করা।’
আজ বুধবার টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সুতি ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর আন্দোলনের ফলে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগণের বিজয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় হয়েছে। এখন আমাদের দেশকে গড়তে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘জনগণের লক্ষ্য হাসিলের জন্য আমাদের বহু নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন। বিএনপির বাইরে অন্যান্য দলের বহু নেতা-কর্মী শহীদ হয়েছেন। যাঁরা রাজনীতি করেন না কিন্তু দেশকে ভালোবাসেন, বিভিন্ন পেশার এমন বহু মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। এই আত্মত্যাগের কারণ কী? কারণ, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। জনগণ তাঁদের কথা বলবে। জনগণ তাঁদের কথা অনুযায়ী কাজ হবে। এমন একটি ব্যবস্থা, যেটিকে রাজনৈতিক ভাষায় বলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা ভোটব্যবস্থা, জনগণের ভোট। যে ভোটযুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছে। যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছে। আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।’
সমাবেশে আবদুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপির সব নেতা-কর্মীর মুক্তির দাবি জানান তারেক রহমান।
গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু), সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ, সদস্য ওবায়দুল হক, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, জেলা ওলামা দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত প্রমুখ বক্তব্য দেন।